ওলীদের ভবিষ্যত বাণী | বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী এর জীবনী Part 8 - Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni

Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni,

বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী ( রহঃ ) এর জীবনী

ওলীদের ভবিষ্যত বাণী

অনেক বিখ্যাত ওলি আল্লাহ মারেফাতেতর জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং দ্বীন ইসলামের খিদমতগার
বড়পীর হয়েও আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর আগমণের খােশ খবর তখনকার মুসলমান
বিশ্বের কাছে প্রকাশ করেছিলেন। আমরা এখানে কয়েকজন ওলি আল্লাহর খােশ সংবাদ
সংক্ষিপ্তভাবে আলােচনা করছি।
 
আধ্যাত্মিক সাধনার উজ্জ্বল নক্ষত্র, শ্রেষ্ঠ সাধক হযরত শায়খ জুনায়েদ বাগদাদী (রহঃ)
একদিন বড়পীর আবদুল কাদের, জিলানী (রহঃ) সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন
 তাপসকুলমনি জুনায়েদ বাগদাদী (রহঃ) মােরাকাবা ও মােশাহাদা অবস্থায় হঠাৎ চীৎকার করে বলে
উঠলেন। তার কদম আমার গর্দানের উপর। এই বলে তিনি স্বীয় মনস্তক অবনত করে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ
আল্লাহ্ তা আলার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর উপস্থিত
লােকেরা তাকে চীৎকারের কারণ জিজ্ঞস করলে তিনি মৃদু হাস্যে বললেন-হিষরী পঞ্চম সালে

সাইয়্যেদ আবদুল কাদের (রহঃ) নামে একজন বিখ্যাত তাপস ও আল্লাহ্র প্রিয় বান্দা দুনিয়াতে
আগমন করবেন। তিনি হবেন পারস্যের অন্তর্গত জিলানের অধিবাসী এবং মহীউদ্দিন উপাধিতে
তিনি ভূষিত হবেন। তিনি আল্লাহ্ তআলার নির্দেশে বলবেন বে, সমস্ত অলী আল্লাহগণের গর্দানে
আমার কদম। মােরাকাবা ও মােশাহাদা অবস্থায় আমি অনুভব করতে পারলাম যে, আমার
গর্দানের উপর তার কদমে সংস্থাপিত হবে। এ জন্যেই আমি প্রণত স্কন্ধে উপরােক্ত কথার স্বীকৃতি
দিয়েছি।

পৃথিবীর বিখ্যাত তাপস হযরত ইমাম আনসারী (রহঃ) সুফী ও সাধকগণের মধ্যে অলী
ছিলেন। তার একটি পুরাতন ও জরাজীর্ণ জায়নামায ছিল। এ জায়নামাযটিকে তিনি অত্যন্ত যত্নের
সাথে ব্যবহার করতেন। যথন তাঁর মৃত্যুর সময় খুব নিকটবর্তী হল তখন তিনি সে জায়নামাযখানা
একজন বিখ্যাত অলীকে দান করে বললেন, হে প্রিয় ভাই! আমার একটিমাত্র অন্তিম আশা। তুমি
আমার সেই আশাকে বাস্তবায়ন করবে বলে আমি মনে করি। আমার এ জায়নামাযখানা হিযরী
পঞ্চম সালের শেষের দিকে যে বিখ্যাত অলী হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)
পারস্যের বুকে আবির্ভূত হবেন। তর কাছে পৌছে দিবে। অবশেষে এ জায়নামায বিভিন্নজনের
মাধ্যমে হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর কাছে পৌছেছিল।

হযরত শায়খ আবু আহম্মদ আবদুল্লাহ. বিন আহাম্মদ মুসা (রহঃ) একজন বিখ্যাত আল্লাহ্র
অলী ও সাধক ছিলেন। তার আধ্যাত্ম সাধনার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। হযরত বড়পীর
আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-এর শুভ জন্মের চার পাঁচ বছর আগে একদা তিনি বলেছিলেন, খুব
শীঘ্রই পৃথিবীতে একজন অলী আবির্ভূত হবেন এবং তিনি শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী হবেন। তিনি
পৃথিবীতে রূহানী শক্তির কিরণ প্রদান করবেন।

তাঁর অসংখ্য কারামত এই দুনিয়াতে ছড়িয়ে
পড়বে। তার মুখের বাক্য হবে এই যে, সমস্ত অলগণের গর্দানের উপর আমার কদম।
সিরিয়ার শায়খ বগ্ী (রহঃ) একজন উন্নতমানের সাধক ছিলেন। তিনি দ্বীন ও শরীয়ত এবং
রহানী-জগতের এক উজ্জ্বল মশাল রূপে ছিলেন। সহজ সরল পথের দিশারী হিসেবে তাকে আজও
লােকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। রূহানী জগতে সুদীর্ঘ ষাট বৎসর বিচরণ করেছিলেন। একদিন
সমবেত জনতা তার কাছে সে শতাব্দীর কুতুবের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর করলেন-হে
সমবেত ভ্রাতাগণ! অচিরেই বাগদাদে একজন যুবকের আগমন ঘটবে। তার রহানী শক্তি হবে।

সুদূর বিস্তৃত। আল্লাহর প্রেম দ্বীনের হেদায়েত ও মারেফাতের নির্মল আলােকে জনমণ্ডলীকে তিনি
উদ্ভাসিত করে তুলবেন। তৎকালে দুনিয়ার সকল অলী আল্লাহ তার অনুসরণ করবে এবং রহানী
আলােকে নিজেদের সমুজ্জল করবে। যদি আমি সে সময় জীবিত থাকি তবে আমিও তাঁর শিষ্যত্ব
গ্রহণ করব এবং তাকে অনুসরণ করব। তাঁর কল্যাণকর কাজ ও কারামত দেখে নিজেকে ধন্য মনে
করব। তিনি একথাও বলবেন যে, সকল অলী আল্লাহর গর্দানের উপর আমার কদম স্থাপিত।

Post a Comment

0 Comments